নিউজ ডেস্ক: ট্যাংরাকাণ্ডের পর এবার বেহালার শকুন্তলা পার্ক। আবার এক হাড়হিম করা ঘটনা। উদ্ধার বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই বাবা ও মেয়ের এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। অটিজমে আক্রান্ত মেয়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বাবা। বাড়িতে ছিলেন মা। কথা ছিল, মেয়েকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরবেন বাবা। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যায় নামার পরও কেউ বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মা। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ খবরটা জানাজানি হয়।
বছর ৫৩-র ব্যবসায়ী স্বজন দাস। চিমনি-ওয়াটার পিউরিফায়ারের দোকান আছে তাঁর। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছ ব্যবসায়ী ও তাঁর মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। বাবা ও মেয়ে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন স্বজনবাবুর স্ত্রী। পরিবারের সদস্যদের ফোন করতে থাকেন তিনি। এরপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ স্বজন দাসের এক বন্ধু শকুন্তলা পার্কের অফিসে গিয়ে দেখেন বাবা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। ফ্যানের হুকে আটকানো ছিল দড়ির দুই প্রান্ত।
সূত্রের খবর, মানসিক ভাবে অনেকদিন ধরেই বিপর্যস্ত ছিলেন স্বজন দাস। ২২ বছরের মেয়েও ভুগছেন অনেকদিন ধরে। ডিপ্রেসনের কারণেই মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা করলেন বাবা ? নাকি অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। জানা গিয়েছে মেয়ে সৃজা ছোট থেকেই অটিজমে আক্রান্ত ছিলেন। বহু জায়গায় চিকিৎসা করেও কোনও সুফল পাওয়া যায়। রাজ্যের বাইরেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। এই নিয়েই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্বজন দাস। পুলিশ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে, সজন সম্ভবত তার মেয়ের চিকিৎসা খরচ এবং শারীরিক অবস্থার কারণে হতাশা ও অবসাদে ভুগছিলেন। সজনের আর্থিক চাপের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এমন ধারণাও তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার সঙ্গে সম্প্রতি ট্যাংরা এলাকার একটি ট্রাজেডির সাদৃশ্যও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারন এর আগে কলকাতা শহরে ট্যাংরায় একই পরিবারের তিন মহিলার দেহ মেলে বাড়ির আলাদা আলাদা তিনটি ঘরে। অন্যদিকে বাড়ির তিন পুরুষ সদস্যের দুর্ঘটনা ঘটে রুবি মোড়ের কাছে। তারপরই পেঁয়াজের খোলার মতো স্তরে স্তরে রহস্যের সন্ধান মেলে।