নিউজ ডেস্ক: একই এপিক নম্বরে দু’জন ভোটার। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিত করতে পথে নামার কথা বৃহস্পতিবারই সভায় ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর পথে নামলেন খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার চেতলায় ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে স্ক্রুটিনি করেন তিনি। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার কার্ড দেখেন তিনি। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “ভুয়ো ভোটার কত, ডেড ভোটার কত, সেই সব আলাদা আলাদা করে তালিকা করতে হবে। এই অনুযায়ী সেই লিস্ট স্ক্রুটিনি করে আমাদের প্রত্যেকটা বুথে সেই, অ্যাসেম্বলি নম্বর, পার্ট নম্বর দিয়ে, বুথ নম্বর দিয়ে স্পেসিফিক করে দেব কাকে পেলাম, কাকে পেলাম না। সেই অনুযায়ী পার্টি যদি দেখে একটা পরিমাণের বেশি ভুয়ো ভোটার আছে, সেটা ইলেকশন কমিশনের কাছে নিয়ে যাব।”
শুক্রবারই ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন ভবানীপুর থেকে ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনির কাজ শুরু হবে। সেই মতো শনিবার সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। ফিরহাদের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। মৃত কারওর নাম রয়ে গিয়েছে নাকি, সে সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হয়। নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। এদিকে, ভবানীপুরে পথে নেমেছেন স্থানীয় কিছু তৃণমূল কাউন্সিলর।
ফিরহাদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন, সেই কাজ বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোট দিতে সাহায্য করব। ভুয়ো নয়, প্রকৃত ভোটারের ভোটেই জিতব।” মেয়র জানান, “তিন-চারটে নাম পেয়েছি যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম আছে। তাঁরা এখানে থাকেন না অথচ নাম আছে। কিছু আছে যাঁদের এখানে কোনও অস্তিত্ব নেই। এই পাড়ায় আমি বড় হয়েছি, জন্মেছি, অথচ কখনও দেখিনি, এমন তিন-চারজনের নাম পেলাম।”