নিউজ ডেস্ক: আজ ৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। পুরনো পাঠক্রমে এই বছর শেষ উচ্চ মাধ্যমিক। পরের বছর থেকে শুরু হয়ে যাবে সেমেস্টার সিস্টেমে পরীক্ষা। যার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা হতে পারে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই।
নিরাপত্তার মোড়কেই হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, এই প্রসঙ্গে আগেই বিবৃতি দিয়েছিল শিক্ষা সংসদ। মূলত, নকল রুখতেই এই বছর আরও কড়া হয়েছে তারা। মাধ্যমিকেও দেখা গিয়েছে, কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে টুকলি করছিলেন এক পরীক্ষার্থী। সেই ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই উচ্চ মাধ্যমিক আরও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সংসদ। জানা গিয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের মূল গেটের মুখেই বসানো হবে মেটাল ডিটেক্টর। এছাড়াও, পরীক্ষাকেন্দ্রকে ঢাকা হবে সিসিটিভির মোড়কে। ২৫ জন পড়ুয়া পিছু থাকবে ১ জন গার্ড। প্রত্যেকটি ঘরে দু’জন করে রাখা হবে। পরীক্ষার সময় পরা যাবে না স্মার্ট ওয়াচও।
এই বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯ হাজার। গত বছর পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৮ লক্ষ পড়ুয়া। কিন্তু চলতি বছরে তা নেমে গিয়েছে প্রায় ২ লক্ষের উপর। সংসদের যুক্তি, ২০২৩ সালে উত্তীর্ণের সংখ্যা কম থাকার কারণেই মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় ‘খরা’ তৈরি হয়েছে। এ বছর ছাত্রদের থেকে ছাত্রীর সংখ্য়া ৪৫ হাজার ৫৭১ জন বেশি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। রাজ্যজুড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ৭৯৮টি। এর মধ্যে ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্র বলে চিহ্নিত হয়েছে ১৩৬টি। জানা গিয়েছে, এই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির উপর নজরদারিতে ব্যবহার করা হবে সিসি ক্যামেরাও। মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত পরীক্ষক। পরীক্ষা শেষ হবে ১৮ মার্চ। পুলিশের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, কোনও অসুবিধায় পড়লে ১০০ নম্বরেও ডায়াল করতে পারবে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা।
তবে এক দিকে যেমন কড়া নিরাপত্তার মাঝে চলবে উচ্চ মাধ্যমিক। সেই সময়ই ধর্মঘটে পথে নামবে রাজ্য বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদেই তেশরা মার্চ রাজ্যজুড়ে প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল তারা। এসএফআই ছাড়াও এদিন ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে অন্য বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলি।