নিউজ ডেস্ক: গোখরো সাপ মারার পর পাড়ায় ‘অমঙ্গল’ হতে শুরু করে। মঙ্গল কামনায় ঘটা করে অকাল মনসা পুজোয় মেতে উঠলেন মঙ্গলকোটের বাগদিপাড়ার বাসিন্দারা। শনিবার থেকে দু’দিন ধরে অকাল মনসাপুজোয় মেতে ওঠেন মঙ্গলকোটের বাগদিপাড়ার বাসিন্দারা। প্রতি বছর কার্তিক মাসের পঞ্চমী তিথিতে মঙ্গলকোটের বাগদিপাড়ার মনসা মন্দিরে বাৎসরিক পুজো হয়। কিন্তু শুক্রবার ওই বিশেষ ঘটনার পর পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেন স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের বাগদিপাড়ায় দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস। অধিকাংশই জনমজুর ও প্রান্তিক কৃষক পরিবার। পাড়ায় রয়েছে প্রায় ৮০ বছরের পুরানো গ্রাম্যদেবী মনসার মন্দির। ওই মন্দিরের পুজারী ব্রাহ্মণ নন্দদুলাল চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “মন্দিরের পাশেই একটি পুরানো বাড়ি ভাঙা হয়েছিল। সেখানে একটি গোখরো সাপ দেখা যায়। মানুষজন ভয় পেয়েছিলেন। তারপর সাপটি মারা পড়ে। পুরানো প্রথা সাপ মারা গেলে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু পোড়ানোর সময় কিছু ঘটেছিল। তারপরেই স্থানীয়রাই ওই অবস্থায় সাপটি মন্দিরে নিয়ে এসে পুজোর আয়োজন শুরু করেন। দেবীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।”
জানা গিয়েছে, আর এই ঘটনার পর থেকেই ‘অপরাধবোধে’ ভুগতে থাকেন পাড়াপড়শিরা। দাবি, কয়েকজনকে দেবী ‘স্বপ্নাদেশ’ দিয়েছিলেন। শেষে ‘কৃতকর্মে’র জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে পুজোর্চ্চনা ও হোমযজ্ঞের পাশাপাশি গোখরো সাপটির দেহ সমাধিস্থ করা হল মনসা মন্দিরের ভিতরেই।