নিউজ ডেস্ক: প্যারাসিটামল থেকে রক্তচাপ, বমিভাব কাটানোর ওষুধ। গুণমান পরীক্ষায় ডাঁহা ফেল ৯৩টি ওষুধ। সম্প্রতি বাংলা-জুড়ে গোটা দেশ জুড়ে পরীক্ষা চালায় CDSCO। আর তার রিপোর্টেই বেড়িয়ে আসে বিস্তর চাঞ্চল্য। গুণমান পরীক্ষায় ফেল পশ্চিমবঙ্গ ফার্মার লিঙ্গার ল্যাকটেটও। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মিলিয়ে গুণমানে উত্তীর্ণ না হওয়া ওষুধের তালিকা ১৪৪। তার মধ্যে জানুয়ারি মাসেই ফেল ৯৩টি ওষুধ। সংগৃহীত নমুনার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। এই ওষুধের তালিকায় রয়েছে, শিশুদের হাঁচিকাশির সিরাপ, বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক, ক্ষতস্থানে লাগানোর মলম, সুগার, হজমের ওষুধ। এগুলির কোনওটিই গুণমাণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, “এই প্রথম একটি রিপোর্ট স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ভিত্তিটাকেই সম্পূর্ণ নাড়িয়ে দিল। অর্থাৎ একজন ডাক্তারবাবু যখন প্রেসক্রিপশন করেন, রোগী ওষুধ খাচ্ছেন, এই দুটো স্তরের মাঝখানে যে একটা ভীষণ তফাৎ তৈরি হচ্ছে, অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রোগীরা গুণমান অনুতীর্ণ ওষুধগুলো খাচ্ছেন। রোগী সুস্থ হচ্ছে না, মৃত্যুর হার বাড়ছে। কিন্তু এর থেকে ভয়ঙ্কর আরও একটি বিষয়, যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো দেখা যাচ্ছে, সেগুলি নকল, গুণমান নিম্ন, তখন এটা আর এক রোগীকে প্রভাবিত করবে না, গোটা সমাজকে প্রভাবিত করবে। জিরো টলারেন্সে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত। তাঁদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা উচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্রিমিন্যাল অফেন্সের কেস করা উচিত।”
আসলে গ্যাসের সমস্যায় যে সমস্ত মানুষ ভোগেন তাঁরা অনেকেই বিভিন্ন সময় ভরসাযোগ্য ওষুধ হিসেবে প্যান-ডি খান চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্লিমেপিরাইড, হাই প্রেসারের ওষুধ টেলমিসার্টান-এর নাম রয়েছে এই তালিকায়। গুণগত মানের নিরিখে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে ক্লেভামও। ওষুধ প্রস্তুতকারী এক সংস্থার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, যে সমস্ত ব্যাচের ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সেগুলি তাঁদের তৈরি নয় এবং সেগুলি জাল। একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই গোটা ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের দাবি করেছে তারা।