নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ফের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের ৩ সদস্যের দেহ। মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতু এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই নিহত সোমনাথ রায় (৪০), তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা (৩৫) ও দম্পতির শিশুপুত্র রুদ্রনীল (৩০ মাস)এর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আর্থিক সঙ্কটের কারণে সপরিবারে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন সোমনাথবাবু।
এদিন সকালে প্রতিবেশীরা ওই পরিবারের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। লালবাজারের তরফে জানা গিয়েছে, ঘর থেকে দেহ উদ্ধারের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইডের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । পাশাপাশি সেখানে যায় কসবা থানার পুলিশ। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। রায় পরিবার নিজেদের শেষ করে দিতে চেয়েছে তাই এই পদক্ষেপ, নাকি পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কসবা থানায় তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে শুরু হয়েছে । স্থানীয়দের দাবি, ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল রায় পরিবার ৷ তাদের কিছু ধার দেনা হয়ে গিয়েছিল৷ সম্প্রতি ওই বাড়িতে নাকি পাওয়াদাররা টাকা চাইতে এসেছিল ৷ ধার দেনার কারণে এই ঘটনা, নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে তদন্তে গোয়েন্দারা ৷
এ ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “সোমনাথের নিজের অটো ছিল। ছেলেটি অসুস্থ ছিল। অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তার জন্য কিছু ধারদেনা হয়েছিল। হয়তো কিছুটা মানসিক চাপে ছিল। কিন্তু, কাউকে কিছু বলত না।” অন্যদিকে সুমিত্রার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে-জামাই খুব ভাল ছিল। জামাই অটো চালাতেন। জায়গা নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সমস্যা ছিল। গন্ডগোলও হত।” ফলে গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হালতু এলাকায়। তাই বর্তমানে আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের জেরা করে আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা চলছে কসবা থানার পুলিশ।