নিউজ ডেস্ক: ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভাকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। আজ (বুধবার) বিকেল ৪টের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।
পাশাপাশি, আহত ছাত্রদের চিকিৎসার খরচও বহন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কেই। এ ছাড়াও, যে সমস্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা উপাচার্যকে সরকারের সঙ্গে কথা বলে তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। উল্টো দিকে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে ছাত্রছাত্রীদের উপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করার ব্যবস্থাও করতে হবে কর্তৃপক্ষকেই। প্রয়োজনে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থানেও বসবেন তাঁরা। এমনই নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তিন ফ্যাকাল্টির পড়ুয়াদের সম্মিলিত জিবি বৈঠকে। ক্যাম্পাসে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য শীঘ্রই একটি গণ কনভেনশনেরও ডাক দিতে চলেছেন পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য, শনিবার ওয়েবকুপার বার্ষিক সভাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ভাঙচুর হয়। তিনি আহতও হন। এদিকে জখম হন দুই বাম ছাত্র নেতা। যার আঁচ পড়ে গোটা বাংলার সমস্ত বিশ্ববিদ্য়ালয় ও কলেজে। তারপর অনলাইনে বৈঠকে হাজির হলেও ক্যাম্পাসে যাননি উপাচার্য ভাস্কর বসু। বাম, অতিবাম সংগঠনের সদস্য তথা আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্য ঘটনার দিন ছিলেন। তাই নৈতিক দায় তাঁর রয়েছে। উপাচার্যকে উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই এরপর মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে বাম, অতিবাম সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন, উপাচার্যকে বুধবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। উনি না এলে প্রমাণিত হবে, তিনি কোনও দলের দাসত্ব স্বীকার করেছেন। সেক্ষেত্রে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটা হবে।