নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসায় দেরি এবং সময় মতো অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা হাওড়ার শ্যামপুরের কমলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃতের নাম সুলতানা বেওর (৫৫)। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, উলুবেড়িয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলান্সের খোঁজ করা হলেও তা পাওয়ায় যায়নি। হাসপাতালের বাইরে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকলেও চালকরা যেতে চাননি। রোগীর পরিজনদের দাবি, হাসপাতাল থেকে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু কেউই রোগীকে পরিষেবা দিতে রাজি হননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুলতানা বেওর দিন কয়েক আগে শ্যামপুরের শিবগঞ্জে তাঁর মেয়ের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে কমলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রাতে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেট বন্ধ থাকার কারণে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। রোগীর পরিবারের দাবি, দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরে গেট খোলা হয় এবং চিকিৎসক রোগীর পরীক্ষা করেন। যদিও রোগীর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে চিকিৎসক তাঁকে উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর করার পরামর্শ দেন। কিন্তু অ্যাম্বুলান্সের খোঁজ করা হলেও তা পাওয়ায় যায়নি।
শেষে এক প্রকার বাধ্য হয়ে রোগীর পরিবার তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়ি করে ওই মহিলাকে উলুবেড়িয়ায় নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন। সেই সময়েই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবার। হাসপাতালের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত জানান, রোগীর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যদি কারও দোষ প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।