নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ঘটে। আলোচনার বিষয় ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তিচুক্তি ও দ্বিপাক্ষিক খনিজ সম্পদ চুক্তি। তবে আলোচনার মাঝেই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বচসা শুরু হলে ট্রাম্প জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধি দলকে ওভাল অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এর পরই আমেরিকা ঘোষণা করে, শান্তি প্রক্রিয়ায় সম্মতি না দিলে ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তা স্থগিত থাকবে।
টনার গুরুত্ব অনুধাবন করে জেলেনস্কি পরে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ক্ষমা চান। মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, জেলেনস্কি ওভাল অফিসে যা ঘটেছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং শান্তি আলোচনায় ফের যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে জেলেনস্কি লেখেন, “আমরা শান্তির লক্ষ্যে আলোচনা করতে প্রস্তুত, এবং আমেরিকার নেতৃত্বে কাজ করতে আগ্রহী।”
এই বার্তাকে হোয়াইট হাউস ইতিবাচকভাবে নিয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এই ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি দুই রাষ্ট্রপতির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে আসেনি, তবুও কংগ্রেস অধিবেশনে চিঠির অংশ পড়ে শোনান ট্রাম্প। পরিস্থিতির উন্নয়নে সৌদি আরবে শীঘ্রই দুপক্ষের বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জেলেনস্কির এই পদক্ষেপ নতুন কূটনৈতিক সমঝোতার পথ খুলে দিতে পারে।