নিউজ ডেস্ক: ১ মার্চ থেকে শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ক্যাম্পাসে। আক্রান্ত হন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকি উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির তলায় চাপা পড়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দ্রানুজ রায়। ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ বাম শিবিরের। তার পর কেটে গিয়েছে ১০ দিন। গোটা ঘটনায় একাধিক মামলা রুজু করেছে রাজ্য পুলিশ। এমনকি কলকাতা হাইকোর্ট অবধি এই কাণ্ডের জল গড়ায়। এবার সেই আবহে ফের নতুন করে মামলা রুজু করল পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে লেখা আজাদি স্লোগানকে ঘিরে ‘রাষ্ট্রদ্রোহে’র মামলা রাজ্য পুলিশের।
যাদবপুরের ক্যাম্পাস দেশদ্রোহিতার কার্যকলাপের আখড়া হয়ে উঠছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এহেন মতের যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে ক্যাম্পাসে। ছাত্র আন্দোলনের নামে সেখানে প্রায়শই শোনা যায় বিচ্ছিন্নতাবাদী স্লোগান। শুধু যে শোনা কথা তা নয়। প্রমাণ ও মেলে দেওয়ালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি বিল্ডিংয়ের ৩ নম্বর গেটের কাছে গেলেই দেখা মিলবে দেওয়ালে লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’ স্লোগান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ রাজ্য পুলিশের। দেশ বিরোধী শক্তি যাতে কোনওভাবেই ক্যাম্পাসে মাথাচাড়া দিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২/৬১ বি ধারা অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা ও নাশকতার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।