নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক। শতাধিক যাত্রী পনবন্দী।নিহত ৬ পাক সেনা। পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যখন জাফর এক্সপ্রেস যাচ্ছিল, তখনই ট্রেন থামাতে বাধ্য করে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। ট্রেনে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিল। এরমধ্যে মহিলা ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পণবন্দি করা হয় পাক সেনা, পুলিশ, অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড ও আইএসআই কর্মীদের।
ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। বিএলএ মুখপাত্র জানিয়েছে, জাফর এক্সপ্রেসকে বেলাইন করতে মাশকাফ, ধাদার ও বোলানে রেললাইনের ওপর পরিকল্পিতভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দুপক্ষের গোলাগুলিতে ৬ পাক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ১০০ জনকে পণবন্দি করা হয়েছে।
পণবন্দিদের বেশিরভাগই পাক সেনা ও নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। তারা ছুটিতে পাক অধিকৃত পাঞ্জাবে যাচ্ছিল। পণবন্দিদের ছাড়াতে সেনা নামানো হলে সবাইকে হত্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বালোচ আর্মি।
এই হামলার দায়িত্বে ছিল বিলএ-র ফিদায়েন গোষ্ঠী মজিদ ব্রিগেড। তাদের সাহায্য করেছে ফতেহ স্কোয়াড।
কিন্তু কারা এই বালোচ লিবারেশ আর্মি? এরা আসলে স্বাধীন বালুচিস্তানের দাবিতে লড়াই করা আত্মঘাতী বাহিনী। পাকিস্তানের অধীন থেকে বালুচিস্তান প্রদেশকে মুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে তারা লড়াই করছে। গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে তারা। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান যখন বালুচিস্তান দখল করে, তখন থেকেই বিবাদের শুরু। দশকের পর দশক ধরে ছোটখাটো বিদ্রোহ লেগেই থাকতো। শেষে ২০২০ সালে তৈরি হয় বালোচ লিবারেশন আর্মি। যা কয়েক দশকে শক্তিশালী আকার ধারণ করে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই বিদ্রোহীরা। ইরান সীমান্তে পাকিস্তান যে হামলা চালিয়েছে, তার জন্যও হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই আর্মি।
ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট, পাকিস্তান তার বিভিন্ন সীমান্তে যে অস্থিরতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে, ইন্ধন দিচ্ছে জঙ্গিদের, তাই পাল্টা রূপে ফিরে আসছে তাদের দিকে।