নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতায় উচ্চ মাধ্যমিকের এক ছাত্রীর জুতোর মধ্যে থেকে পাওয়া গেল মোবাইল ফোন। অভিনব কায়দায় নিরাপত্তার গণ্ডি পেরিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল পাঠভবনের স্কুলের এক ছাত্রী। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে জুতোর মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে কী ভাবে ঢুকল পরীক্ষার্থী, তা ভেবেই হতবাক স্কুল কর্তূপক্ষ।
চলতি বছর কলকাতার বিনোদিনী গার্লস স্কুলে পাঠভবনের পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিচ্ছে। মঙ্গলবার রসায়ন-সহ আরও বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। প্রতিদিনের মতোই নির্দিষ্ট সময় মেনে পরীক্ষার্থীদের মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে দেহ তল্লাশি করে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়েছিল। সেই সময়ই অভিনব কায়দায় নিরাপত্তার গণ্ডি পেরিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল সেই ছাত্রী। জানা যায়, পরীক্ষার শুরু থেকেই ওই ছাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছিল ইনভিজিলেটরদের। শুরুর এক ঘন্টার পর সে বাথরুমে যায়। কিন্তু অন্যদের তুলনায় বেশ খানিক ক্ষণ পরে সে ফিরে আসে। আর এতেই সন্দেহ বাড়ে ইনভিজিলেটরদের। তাঁরা আরও বেশি করে নজর রাখেন ওই ছাত্রীর ওপর। এর পরেই মোবাইল ফোন-সহ তাকে হাতেনাতে ধরেন পরীক্ষার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা।
এ প্রসঙ্গে বিনোদিনী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুস্মিতা বসাক বলেন, ‘‘আমরা হতবাক! মেটাল ডিটেক্টরে কিছু ধরা পড়েনি। পরে শুনি, জুতোর মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেছিল সে। আমরা বিষয়টি কাউন্সিলকে জানিয়েছি।’’ অন্যদিকে, এ ঘটনায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যে ভাবে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেছে, এ ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল হবে’’।