নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বেশ কিছু সরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমে গিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন স্কুলে ছাত্র শিক্ষকের আনুপাতিক হার কত তা দেখার কাজ শুরু করছে শিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার বিধানসভার আলোচনা পর্বে এই সমীক্ষার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
অনেক ক্ষেত্রে স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা অনেক কম থাকলেও আনুপাতিক হারে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। আবার কোথাও পড়ুয়া বেশি থাকলেও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা তুলনায় কিছুটা কম।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোন স্কুলে কত ছাত্র রয়েছে, সেই অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কত, এসব দেখা হচ্ছে। কোথাও অতিরিক্ত শিক্ষক থাকলে তাঁকে অন্যত্র বদলি করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই শিক্ষকরা অন্যত্র যেতে চান না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
রাজ্যের কোন স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কী রকম রয়েছে, সে বিষয়ে বিকাশ ভবনের হাতে আগে থেকেই একটি অভ্যন্তরীণ হিসাব রয়েছে। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, প্রায় ২৫০ স্কুলে ছাত্র ভর্তির হার প্রায় শূন্য। অথচ সেগুলিতে পাঁচ-ছয় জন করে শিক্ষক রয়েছেন। পড়ুয়া সংখ্যার হিসাবে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে প্রায় ১২০০ শিক্ষক বেশি রয়েছেন।
একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ২০২৩ সালে ৯৫০০ নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। এখনও প্রায় ৫৬৩৫ টি শূন্যপদ রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশা করছি দ্রুত নিয়োগ হবে।
মন্ত্রী এদিন যে ব্যাখ্যাই দিন, গত বছরের শেষদিকেই এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে শিক্ষা দফতর। ঠিক হয়, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোন স্কুলে কত জন পড়ুয়া রয়েছে? কোথায় কত জন শিক্ষক রয়েছেন, শিক্ষাকর্মীর সংখ্যাই বা কত? কোন স্কুলে কত শূন্যপদ রয়েছে? প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে। তার পর সেই রিপোর্ট জমা পড়বে বিকাশ ভবনে। সেই কাজ কতটা এগিয়েছে, তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করেননি শিক্ষামন্ত্রীকে।