নিউজ ডেস্ক: ঘোলায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ট্রলি ব্যাগে দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কিনারা করল পুলিশ। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে মুক্তারামবাবু বাবু স্ট্রিট থেকে করণ সিং নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে এই মামলায় কৃষ্ণারাম সিং নামে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আকাশি রঙের ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে মুখ, হাত-পায়ে টেপ জড়ানো মৃতদেহ।
রাতেই ঘটনাস্থলে যান বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (ঘোলা) তনয় চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ক্যাব চালককে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই নারকীয় কাণ্ডের নেপথ্যে টাকা সংক্রান্ত বিবাদ। তবে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে কুমোরটুলিতে ট্রলি থেকে উদ্ধার করা হয় দেহ। গ্রেফতার করা হয় মা ও মেয়েকে। আর এবার ঘটনাস্থল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। মৃতের নাম ভাগারাম সিং, রাজস্থানের পালির বাসিন্দা। বড়বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন ভাগারাম এবং ধৃত কৃষ্ণরাম ও করণ। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে, ব্যবসার কাজে ৮ লক্ষ টাকা নেন ভাগারাম। টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই কারণেই খুন। জানা গিয়েছে, রাত নটা নাগাদ ঘোলার খেপলির বিল এলাকায় যাওয়ার জন্য নাগেরবাজার থেকে অ্যাপ ক্যাবে ওঠে দুজন। সঙ্গে ছিল আকাশি রঙের ট্রলি ব্যাগ। এত রাতে অন্ধকার জায়গায় ভারী ব্যাগ নিয়ে নামায় সন্দেহ হয় চালকের। তিনি দেখতে চাইলেও রাজি হয়নি অভিযুক্ত দুই যুবক। এমনকী অভিযুক্তরা ঘুষ দিতে চায় বলে দাবি ক্যাব চালকের। এরপরই ১০০ নম্বরে ডায়াল করতে যায় চালক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় এক দুষ্কৃতী। অপর দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরে অ্যাপ ক্যাব চালক। পরে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।