নিউজ ডেস্ক: ফাল্গুনের পূর্ণিমায় বাংলা জুড়ে দোলযাত্রার উৎসবে মেতে ওঠেন মানুষ। দোলপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বৃন্দাবন থেকে মায়াপুর সেজে ওঠে নিজের ছন্দে। এই উৎসবের সূচনা হয় পূর্বদিবস হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়ার মাধ্যমে। এ বছর পঞ্জিকামতে দোলযাত্রার পূর্ণিমা তিথি কখন থেকে পড়ছে, তা দেখে নেওয়া যাক।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার থেকেই পড়ছে দোলপূর্ণিমার তিথি। ইংরেজি ১৩ মার্চ, ও বাংলার ২৯ ফাল্গুন সকাল ১০ টা ৩৭ মিনিটে পড়ছে দোল পূর্ণিমা। পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছেস ১৪ মার্চ, ২০২৫ সালে। বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ৩০ ফাল্গুন, শুক্রবার পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে। সেদিন বেলা ১২ টা ২৫ মিনিট নাগাদ শেষ হচ্ছে তিথি। এদিকে, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা বলছে, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ শুরু হচ্ছে এই পূর্ণিমা তিথি। সেদিন এই পঞ্জিকা অনুসারে বাংলার ২৮ ফাল্গুন। আর তিথি শুরু হচ্ছে বেলা ১০টা ২২ মিনিট ২৩ সেকেন্ড থেকে। পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে, বাংলার ক্যালেন্ডার মতে ২৯ ফাল্গুন। সেদিন ইংরেজি ক্যালেন্ডার মতে শুক্রবার ১৪ মার্চ। সেই দিনে বেলা ১১ টা ৩৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে পূর্ণিমা তিথি শেষ হবে।
অর্থাৎ এই বছর হোলি দু’দিন ধরে পালিত হবে। প্রথম দিনে ১৩ মার্চ হোলিকা দহন অনুষ্ঠিত হবে। যা সাধারণত হোলির আগের রাতে পালিত হয়। বাংলায় আমরা একে ‘ন্যাড়া পোড়া’ বলে থাকি। বিশ্বাস করা হয়, এতে পাপ, লোভ ও হিংসার সমাপ্তি ঘটে। পরের দিন ১৪ মার্চ মূল রঙ খেলার পর্ব।
সারা ভারতে খুব উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয় হোলি কারণ এটা ভারতের অন্যতম প্রধান বড় উৎসব। এই দিনে রাধা কৃষ্ণ এক সঙ্গে গোপিনিদের সঙ্গে আবিরের রঙে মেতে উঠেছিলেন। ভারতে খুব বড় করে দোল উৎসব হয় বৃন্দাবনে। এখানে বহু মানুষের সমাবেশ হয় হোলির সময়। এখানে এক সপ্তাহ আগে থেকেই হোলি উৎসব পালিত হয়। হোলির আগে যে একাদশী হয় আসে সেই একাদশী থেকে এই উৎসব পালন শুরু হয়।
বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দিরে ফুলের হোলি খেলা সারা ভারত বিখ্যাত। এই স্থানে হোলি খেলা শুরু হয় দোলের আগে রঙ্গভরী একাদশী থেকে। এই বৃন্দাবনের আর একটা ঐতিহ্যবাহী প্রথা হলো বিধবাদের নিয়ে হোলি খেলা। এই সময়ে মানুষ ধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ওঠে। সামাজিক নিয়ম কানুন বিধি নিষেধের চোখ রাঙানি এই সময় উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রাচীন প্রথাকে সম্মান এর সঙ্গে পালন করে আসছে বৃন্দাবনবাসি।