নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়া জেলার বেশ কিছু বুথে মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় থাকার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা ঘিরে শাসক ও বিরোধী দলগুলির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বাঁকুড়া শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গরাইপাড়ার ১৭২ নম্বর বুথে প্রায় ১৫ জন মৃত ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় দেখা যায়। বাঁকুড়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল রহমান বিষয়টি প্রথমে নজরে আনেন। এরপর খবর পেয়ে বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এছাড়া, বাঁকুড়া-১ ব্লকের কুমিদ্যা এলাকার ২৭০ নম্বর বুথের ভোটার তালিকায় ১৯ জন মৃত ব্যক্তির নাম রয়েছে। বাঁকুড়া-২ ব্লকের লাদনা ও কেন্দবনি গ্রামে আরও ৩০ জন মৃত ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, ভোটার তালিকায় মৃতদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য বামপন্থীরাই দায়ী। সরকারি দফতরে এখনও বামপন্থী কর্মীদের প্রভাব রয়েছে, তারাই বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করে এই কাজ করেছে।
পাল্টা সিপিআই(এম) নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতের বিষয়টি সর্বজনবিদিত। তৃণমূল ভোট কারচুপিতে সিদ্ধহস্ত, নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতে এবং প্রচারে আসতেই তারা এই ইস্যু সামনে আনছে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাধ্যমেই ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বিয়োজনের কাজ হয়। মৃতদের নাম তালিকা থেকে বাদ না পড়ার সম্পূর্ণ দায় রাজ্য প্রশাসনেরই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মৃতদের কেউ কেউ ৫ বছর আগে, কেউ আবার ১০ বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন। পরিবারগুলির দাবি, তাঁরা সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ফলে রেশন কার্ড সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলেও ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম আজও রয়ে গেছে।