নিউজ ডেস্ক: নতুন করে রোজভ্যালি চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি ঘিরে সক্রিয় হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। একের পর এক বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাওয়ায় এবার বাংলাসহ ৯টি রাজ্যের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজিদের চিঠি পাঠানো হয়েছে ইডি ও রোজভ্যালি অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির পক্ষ থেকে।
চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তিগুলি যেন দ্রুত দখলমুক্ত করে ফের ইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়, যাতে সেগুলি বিক্রি করে প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া যায়। রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের সঞ্চয় হারিয়েছেন। সেই টাকা ফেরাতে ইতিমধ্যেই তিন দফায় সম্পত্তি বিক্রি করেছে ডিসপোজাল কমিটি। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অসম, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ডসহ ৯টি রাজ্যে বহু সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে।
ইডির মতে, আদালতের নির্দেশ ছিল বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরানো হবে। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে দখলদারদের দৌরাত্ম্যে সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ডিসপোজাল কমিটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সম্পত্তির সুরক্ষা নয়, দখল হওয়া জমিগুলিও অবিলম্বে পুনরুদ্ধার করতে হবে। ইডির তরফে রাজ্য প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব বেদখল সম্পত্তিগুলো মুক্ত করে ইডির হাতে তুলে না দিলে তদন্তে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রোজভ্যালি অন্যতম বড় চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি, যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, সংস্থাটির প্রচুর সম্পত্তি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে, যা বাজেয়াপ্ত করা হলেও এখনো বহু সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। আমানতকারীদের অর্থ ফেরানোর স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবার প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ জোরদার করছে।