নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই মৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে বিতর্ক৷ মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সাঁতরা। শনিবার দুপুরে সংশোধনাগারের শৌচাগার থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে বিশ্বজিতের বাড়ির লোকেদের জানিয়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্বজিৎ-এর মৃত্যুকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছেনা তার পরিবারের লোকজন। তাদের অভিযোগ, তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ না-হলে বিশ্বজিৎ গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়ার জন্য দড়ি পেল কীভাবে? ইতিমধ্যেই মৃত্যুর কারণ জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৩৩ এর বিশ্বজিৎ সাঁতরার বাড়ি হুগলির ধনেখালি থানার কুমরুল গ্রামে। ২০১৮ সালে ধনেখালি থানার গোপীনাথপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরা খুন হন ৷ সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বিশ্বজিতের। উপপ্রধানের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিশ্বজিৎ-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে ৷ এরপর ২০২২ সালে বিশ্বজিৎকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই থেকে বিশ্বজিৎ বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে বন্দি। বিশ্বজিতের পরিবারের অভিযোগ সংশোধনাগারে বিশ্বজিতের উপরে অত্যাচার করা হত । এমনকি তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিশ্বজিতের বাড়ির লোকেদের জানানো হয় শৌচাগারে কম্বল ছিঁড়ে সে গলায় ফাঁস দেয়। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ বিশ্বজিতের পরিবার। সংশোধনাগারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই সাজাপ্রাপ্ত বন্দি আত্মঘাতী হয়েছে। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।