নিউজ ডেস্ক: হুগলি জেলার গ্রামীণ অঞ্চলে লাগাতার বাড়ছে নাবালিকা নিখোঁজ ও বাল্যবিবাহের ঘটনা। বিষয়টি ঘিরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)। জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার চুঁচুড়ার সার্কিট হাউসে হুগলি জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ডেভেলপমেন্ট), হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বৈঠকের পর অর্চনা মজুমদার জানান, গত এক বছরে হুগলি জেলায় প্রায় ৮০০-র বেশি নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছে। যদিও বেশ কিছু মেয়েকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এবং অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে নাবালিকাদের নিখোঁজ হওয়ার হার বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে অপরিচিতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে, যা পরবর্তীতে নিখোঁজের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
একইসঙ্গে জেলার বিভিন্ন মহকুমায় স্কুলপড়ুয়া কিশোরীদের মধ্যে বাল্যবিবাহের প্রবণতাও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে আরামবাগ মহকুমা এই প্রবণতায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনকে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন এবং স্কুলস্তরে বিশেষ পাঠ্যক্রম চালুর পরামর্শ দেন।
তিনি জানান, বাল্যবিবাহ রুখতে কড়া আইন প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রয়োজনে অভিভাবকদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে জেলও হতে পারে। নাবালিকাদের সুরক্ষায় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন কমিশনের এই সদস্য। জাতীয় মহিলা কমিশন আগামী দিনে বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখবে বলেও জানান তিনি।