নিউজ ডেস্ক: একেই বলে ‘মিরাকল’! ১০৫ বছর বয়সে শরীরে সফলভাবে বসানো হল পেসমেকার। কিন্তু তাতে এতটুকুও বিচলিত নন চিকিৎসক স্মৃতিকণা রায়। সব রোগ-ভয় যেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনীয় মেশিন লাগানো হাতে-বুকে। কিন্তু মুখে একগাল হাসি। যেন কিছুই হয়নি। আর এই অফুরাণ প্রাণশক্তির বিরল নজির গড়ল আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল।
বালিগঞ্জের বাসিন্দা স্মৃতিকণা রায় ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ স্মৃতিকণা তাঁর সারাজীবনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার সদ্যেজাতর প্রসব করিয়েছেন। কিন্তু বয়সের ভারে বর্তমানে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন লক্ষ্য করায় চিকিৎসকরা বৃদ্ধার দেহে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই মতো চলে চিকিৎসা। অপারেশনও হয় সফল। আপাতত সুস্থ আছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা। পরিবারের প্রত্যেকের কাছেই তিনি যেন এক অনুপ্রেরণা।
এত বড় অপরেশনের পরেও খুব বেশি চিন্তিত নন শতায়ু স্মৃতিকণা। একসময় কীভাবে নিজের সন্তানদের রেখে বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন, কীভাবে হাসপাতালগুলিতে কাজ হত, সাল-তারিখ ধরে সব বলে দিচ্ছেন স্মৃতিকণা রায়। এভাবে ভাল থাকার মন্ত্র কী? প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘কাজের মধ্যে থাক। যত পার মানুষের উপকার কর।’ এতেই এমন প্রাণশক্তি সঞ্চয় করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, কাজের সূত্রে একসময় মাদার টেরিজার সান্নিধ্যেও এসেছিলেন তিনি। কোভিড তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। কোভিডের প্রসঙ্গ উঠতেই বৃদ্ধা বলেন, ‘না না ভয় পাইনি। ভয় পাব কেন! কত মানুষের চিকিৎসা করেছি একসময়।’