নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ ২০২৫-এর সাফল্যকে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক অনন্য প্রতীক হিসেবে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার সংসদে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “গোটা বিশ্ব মহাকুম্ভের মাধ্যমে ভারতের প্রকৃত রূপ ও শক্তি প্রত্যক্ষ করেছে। এই উৎসব থেকে আমরা পেয়েছি একতার অমৃত।” প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য – ভারতের এই চেতনাই মহাকুম্ভে সর্বাধিক প্রকাশ পেয়েছে।
প্রয়াগরাজে আয়োজিত এই মহাযজ্ঞের জন্য আয়োজক কর্মী, পুণ্যার্থী ও উত্তরপ্রদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যেমন ভগীরথ বহু কষ্টে গঙ্গাকে মর্ত্যে এনেছিলেন, তেমনি এই মহাকুম্ভকে সফল করতে অসংখ্য মানুষের কঠোর পরিশ্রমের ফল আমরা দেখেছি।”
তিনি আরও বলেন, “মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে। যেমন চৈতন্যদেবের ধর্মীয় আন্দোলন বা স্বামী বিবেকানন্দের ঐতিহাসিক শিকাগো ভাষণ। মহাকুম্ভও তেমনই এক ঘটনার নাম, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও দেশাত্মবোধকে জাগ্রত করেছে।”
মোদীর বক্তব্যে উঠে আসে দেশের ঐক্য ও সামাজিক সমতার চিত্র। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভে কোনও ভেদাভেদ ছিল না— জাতি, ধর্ম বা ভাষার পার্থক্য ভুলে মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন। ‘আমি’ থেকে আমরা হয়ে উঠার অনন্য উদাহরণ ছিল এই আয়োজন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যেখানে গোটা বিশ্ব ভাঙনের পথে হাঁটছে, সেখানেই মহাকুম্ভ বিশ্বের সামনে ভারতের ঐক্য, সংস্কৃতি ও শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।” প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে স্পষ্ট, মহাকুম্ভ ২০২৫ শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং ভারতের আত্মপরিচয়ের জাগরণ, জাতীয় ঐক্যের প্রতিচ্ছবি।