নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তানে বালোচ লিবারেশন আর্মির (BLA) টানা হামলায় কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় একাধিক বিস্ফোরণ, হাইজ্যাক ও গুলিচালনায় নিহত শতাধিক পাকিস্তানি সেনা। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে চরম অস্থিরতা। এমন পরিস্থিতিতে এবার বিদ্রোহ দমন করতে পাকিস্তানের মাটিতে সরাসরি সেনা মোতায়েনের পথে হাঁটছে চিন। আন্তর্জাতিক মহলে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ—এবং ভারতও সতর্ক নজর রাখছে গোটা পরিস্থিতির উপরে।
বিশ্লেষকদের দাবি, চিনের এই পদক্ষেপ নিছক বন্ধুত্ব নয়, বরং নিজেদের স্বার্থ রক্ষার কৌশল। কারণ বালোচদের মূল নিশানা এখন চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর (CPEC)। গদর বন্দর থেকে চিনের শিনজিয়াং পর্যন্ত প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চল দখল করে লাভের গুড় খাচ্ছে পাকিস্তান ও চিন, আর তার মূল্য চোকাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা—এই অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে বালোচ জনতা।
বিদ্রোহ যত বাড়ছে, ততই সিপিইসি প্রকল্প বিপদের মুখে পড়ছে। তাই নিজেদের বিনিয়োগ রক্ষা করতেই এবার পাক ভূখণ্ডে সেনা নামাতে চাইছে বেজিং। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা—চিনের এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন সামরিক ভারসাম্য গড়তে পারে। করাচি ও গদর বন্দরে চিনা উপস্থিতি ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
চিনের সরব উপস্থিতি করাচি ও গদর বন্দরে দীর্ঘমেয়াদে ভারতের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। ভারত আশঙ্কা করছে, এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান-চিন জোট আরও বড় ষড়যন্ত্রে মেতে উঠতে পারে।