নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ধর্মযুদ্ধ। একদিকে রাজ্যে হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কের ওপর শাসকের খড়্গহস্তের প্রতিবাদ।সবে মিলে উত্তাল বিধানসভা। বিজেপি বিধায়কদের ওয়াকআউট। সর্বোপরি, তাঁর উপর থেকে সাসপেনশন উঠে গেলেও বিধানসভার চলতি অধিবেশনে আর থাকবেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কিন্তু কেন তিনি বয়কট করছেন বাকি অধিবেশন? কারণ, ফালাকাটার বিজেপি বিধায়কের উপর থেকে এখনও সাসপেনশন ওঠেনি। তারই প্রতিবাদে শুভেন্দুর এই সিদ্ধান্ত। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য শুভেন্দু সহ ৪ বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড হয়েছিলেন। আবার ১০ মার্চ দুই বিজেপি বিধায়ককে মার্শাল ডেকে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান ফালাকাটার বিধায়ক। চলতি অধিবেশনের জন্যই তাঁকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। তাই তাঁর প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েই অধিবেশনের আরও ২ দিন বাকি থাকলেও তা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন শুভেন্দু।
এই ধর্মযুদ্ধের পাশাপাশি হিন্দুদের ওপর আক্রমণের জবাব চেয়েও ধর্মযুদ্ধে সামিল হয় পদ্মবাহিনী। সরকারের বিবৃতি দাবি করা হয়। অধ্যক্ষ সেই দাবি খারিজ করলে ওয়াকআউট করেন পদ্ম বিধায়করা। বিধানসভার গেটের বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শুভেন্দু বলেন, “বিধানসভাকে প্রহসনে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিতরে ক্যামেরা নিষিদ্ধ, তাই প্রতিদিনই বাইরে এসে কথা বলতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন বন্ধ ইন্টারনেট, কেন জারি ১৪৪ ধারা? কেন তার জবাব দিচ্ছেন না পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।
সব মিলিয়ে বিধানসভার ভিতর থেকে বাইরে, বিজেপি বিধায়কদের ধর্মযুদ্ধে সরকার পক্ষ যে বারবার বেকায়দায় পড়ছে, তা বলাই যায়।