নিউজ ডেস্ক: একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ল রাজ্যে। জলদাপাড়া ও গরুমারা দুই জাতীয় উদ্যানে তিন বছরে ৪৫টি গণ্ডার বেড়েছে বলে জানাল রাজ্য বনদপ্তর। গত কয়েক বছরের রাজ্যের বনাঞ্চলগুলিতে চোরাশিকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছিল বনদফতর। রাজ্য বনবিভাগের সেই লাগাতার প্রচেষ্টারই এবার হাতেনাতে ফল মিলেছে। চোরাশিকারীদের দৌরাত্ম্য তলানিতে ঠেকতেই বনাঞ্চলে বেড়েছে বন্যপ্রাণের সংখ্যা। রাজ্যের দুই জাতীয় উদ্যানে গণ্ডারের সংখ্যা-বৃদ্ধিতে রীতিমতো খুশি বনমন্ত্রী থেকে শুরু করে বদফতরের শীর্ষকর্তারা। খুশি পশুপ্রেমী মানুষজনও।
মূলত গণ্ডার শুমারিতে একশৃঙ্গ গণ্ডারদের খাদ্য ও বাসস্থানের বর্তমান অবস্থা কী তাও জানার চেষ্টা করা হয়েছে । দুই জাতীয় উদ্যানে কয়েকশো বনকর্মী ও বন্যপ্রাণী প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা এই শুমারিতে অংশ নেন। গরুমারা ও জলদাপাড়াতে ৮৫টি কুনকি হাতি দিয়ে শুমারি করা হয়। দুই জাতীয় উদ্যানে ৬৩১জন বনকর্মী ও ১৫টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা কাজ করেন।
২০২৫ সালে গণ্ডার শুমারিতে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ল ছয়টি। সবমিলিয়ে বর্তমানে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে গণ্ডারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৫টি। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের গণ্ডারের সংখ্যা ধীরগতিতেই বাড়ছে। সাম্প্রতিককালের মধ্যে এবছর সবচেয়ে বেশি গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ল। এর আগে, ২০১৩ সালে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে গণ্ডার ছিল ৪৩টি, ২০১৫ সালে ছিল ৪৯টি, ২০১৯ সালে ছিল ৫২টি।
পাশাপাশি ২০২৫ সালে গণ্ডার শুমারিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা বাড়ল ৩৯টি। এর ফলে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এবছরের শুমারির পর গণ্ডারের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৩১টি। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ২০১৩ সালে গণ্ডারের সংখ্যা ছিল ১৮৬টি, ২০১৫ সালে ছিল ২০৪টি, ২০১৯ সালে ছিল ২৩৭টি, ২০২২ সালে গণ্ডারের সংখ্যা ছিল ২৯২টি । স্বাভাবিকভাবেই ২০২৫ সালে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ৩৯টি গণ্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশির হাওয়া জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের মনে।
দেখা যায়, জলদাপাড়ার গণ্ডারের হিসাবে প্রায় ৭২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ৯ শতাংশ, প্রায় প্রাপ্তবয়স্ক ও ২১ শতাংশ শিশু রয়েছে। আবার গরুমারার গণ্ডারের হিসাব বলছে, প্রায় ৬২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক, প্রায় প্রাপ্তবয়স্ক ১২ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ শিশু রয়েছে।