নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসার আবহে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয়, আক্রান্ত হয়েছে মূলত হিন্দু ব্যবসায়ীদের দোকান ও প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা, যেখানে নির্দিষ্ট করে হিন্দু মালিকানাধীন দোকানগুলিই লক্ষ্য করা হয়েছে। এক ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা এতদিন মুসলিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্প্রীতির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু আমাদেরই দোকান পুড়ল, মুসলিমদের একটি দোকানেও আঁচ লাগল না। হিন্দুদেরই উপরেই এই সব হচ্ছে।”
পুলিশ ইতিমধ্যেই হিংসায় জড়িত সন্দেহে ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিয়ো ক্লিপ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। হিংসা দমনে শহরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া নাগপুর শহরে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে।
এই ঘটনার নেপথ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত ছিল কিনা, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। সমাজ বিশ্লেষকদের মতে, নাগপুরে সম্প্রীতির বাতাবরণে এই হামলা একটি বড় ধাক্কা। প্রশাসনের তরফে এখন দ্রুত তদন্ত এবং কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠেছে সব মহল থেকেই।
অভিযোগ, ঔরঙ্গজেবের সমাধি ঘিরে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করা হয়। সেই সূত্র ধরে দাবি ওঠে—একটি ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো হয়েছে, যার ফলে এক সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। এরপরই ১৭ মার্চ নাগপুরের মহল এলাকায় পাথর ছোড়া ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। হিংসার জেরে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পুলিশকর্মী ও কয়েকজন ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।