নিউজ ডেস্ক: শহরে ফের রহস্যমৃত্যু। এবার স্থান গড়িয়ার আদর্শনগরে। ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার দম্পতির দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু দম্পতির আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, গতকালও স্বাভাবিক মনে হয়েছিল দু’জনকে। ঠিক কী ঘটেছে তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হন স্বামী।
বুধবার রাতে আদর্শনগরের ওই বাড়ি থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। ৪৫ বছর বয়সি তরুণ দাস এবং তাঁর স্ত্রী, ৩৫ বছর বয়সি আশা দাস সেখানে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ছ’মাস ধরে আদর্শনগরের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন মৃত দম্পতি। গতকাল বাড়ির এক সদস্যই দু’জনের দেহ দেখতে পান। জানা গিয়েছে, ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় ঘরে উঁকি দিতে যান তিনি। তখনই ঘরের মধ্যে একজনকে ঝুলতে দেখেন তিনি। এর পর চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। এর পর আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। স্থানীয়রাই দরজা ভেঙে ওই দম্পতির ঘরে ঢোকেন। সেখানে দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে তরুণের দেহ। স্ত্রী আশার দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার উপর।
ঘটনার পরেই নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, স্ত্রী খাটে শোয়ানো অবস্থায় ছিলেন। তাঁর গলায় দাগ। গাল দিয়েও বেরিয়েছে রক্ত বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল, তার কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
এ প্রসঙ্গে বাড়ির মালিক যমুনা মণ্ডল বলেন, “আশা ও তার বোন পরিবার নিয়ে আমার বাড়িতে ভাড়া থাকে। ওর বোনের ছেলে স্কুল থেকে ফেরে। ওদের ঘরে যায়। তখনই দেখে মেসো ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। দৌড়ে ওর মা কে সে কথা বলে বাচ্চাটা। আমিও দাঁড়িয়েছিলাম। দৌড়ে যাই। আমি যখন যাই তখন দেখি দু’জনই শেষ।”