নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর মার্কিন মসনদে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিয়ে ২ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় এসে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন তিনি। তাঁর খামখেয়ালিপনায় কপালে ভাঁজ পড়ছে একাধিক দেশের। বাড়ছে শুল্ক যুদ্ধ। সব মিলিয়েই খবরের শিরোনামে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তাঁকে নিয়ে এক চমকে দেওয়া খবর সামনে এল। সুদূর আমেরিকা থেকে নাকি বাংলাদেশের কাঁকড়া বিক্রির জন্য ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছেন ট্রাম্প। খবরটি আসতেই শোরগোল সর্বত্র। তাহলে কী এবার কাকড়া বিক্রি করবেন ট্রাম্প?
বিষয়টি সামনে আসতেই অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তাই শুরু হয় সত্যতা যাচাইয়ের কাজ। আর তা করতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসার মত কাণ্ড। আদতে এই প্রকার কোনও লাইসেন্স ইস্যু করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাহলে আসল গল্পটা কি?
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ইস্যু করা একটি লাইসেন্স বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে আসে। তাতে দেখা যায় ট্রাম্প অ্যাসোসিয়েটস নামে এক কোম্পানি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছে। যাতে মালিকের নাম রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প । তাঁর বাবার নাম ফ্রেড ট্রাম্প। মায়ের নাম ম্যারি অ্যান ম্যাকলিওড ট্রাম্প। ঠিকানা, নিউ ইয়র্ক। শুধু তাই নয় লাইসেন্সে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবি। লাইসেন্সে বলা হয়েছে ট্রাম্প অ্যাসোসিয়েটস, বাংলাদেশের চিংড়ি বিশ্বের নানা দেশে রপ্তানি করবে। এজন্য ঢাকার আফতাবনগরে অফিস নিয়েছে নাকি তারা।
লাইসেন্সটির বিষয়ে জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ প্রশাসন। শুরু হয় তদন্ত। তাতে জানা যায় কেউ মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে ভুয়া নথিপত্র তৈরি করে লাইসেন্সটি বের করেছে। ঢাকার আফতাবনগরে যে ঠিকানায় অফিস বলে দাবি করা হয় সেখানে সদ্য তৈরি হয়েছে একটি দশতলা বাড়ি। তবে সেটি পুরোপুরি আবাসিক ভবন। সেখানে অফিসের কোনও অস্তিত্ব নেই।
কীভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে ভুয়ো ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হল সেবিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের জবাব, যেহেতু এখন বাংলাদেশে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়ে থাকে। দরখাস্তও অনলাইনে করতে হয়। তাই কেউ এই সুযোগে ভুয়ো লাইসেন্স বের করে নিয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে কে বা কারা জাল নথি দিয়ে ভুয়ো লাইসেন্সে বার করল , কেনই বা করল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।