নিউজ ডেস্ক: আর জি কর-কাণ্ডের তদন্তে তলব করেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আর জি কর হাসপাতালের চার জন নার্স। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই চার জনকে বেশ কিছু ক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ঘটনার দিন কর্তব্যরত ৭ জন নার্সকে তলব করে এজেন্সি। আজ হাজিরা দিলেন অর্থোপেডিক বিভাগে সেদিন কর্মরত সায়নী চক্রবর্তী। অপর ৩ জন নার্স চেস্ট মেডিসিন বিভাগের। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন শম্পা দাস। এই শম্পা দাসের মোবাইলের একটি ভিডিয়ো নিয়েই বিস্তর জল্পনা উঠেছিল। তিনি নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে সেই রাতের একটি ভিডিয়ো ছিল, যেটি তিনি মুছে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এটা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছড়ায়।
আন্দোলন পর্বে অনেকেই তাঁর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁর বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু তিনি বরাবরই নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন। তিলোত্তমার বাবা-মা প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে সে রাতে যে সমস্ত চিকিৎসক-নার্সরা কর্তব্যরত ছিলেন, তাঁদের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। তাঁদের বয়ানকে আইনের পরিধিতে আনা হয়নি। নির্দিষ্ট করে নার্স-চিকিৎসকদের নাম বলেছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘ দিন অনশন এবং কর্মবিরতি চালিয়ে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত।
তবে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। তাঁদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।