নিউজ ডেস্ক: জলযন্ত্রণা দূর হলেও বাড়িতে ক্রমশ বাড়ছে ফাটল। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপদের আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে নারাজ হাওড়ার বেলগাছিয়ার বাসিন্দারা। সোমবার সকালে বেলগাছিয়ায় পৌঁছন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। মাটি পরীক্ষা করা হবে ভাগাড়ের। ফলাফল সন্তোষজনক হলে বায়ো মাইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে জঞ্জাল সরানোর কাজ শুরু হবে। সে কারণে সকাল থেকে এলাকায় চলছে মাইকিং। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আপাতত স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এলাকারই একটি ক্লাবে বসবাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদিও এই প্রস্তাবে নারাজ স্থানীয়রা।
সোমবার সকাল থেকে মহিলারা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুনর্বাসনের দাবিতে সরব তাঁরা। সূত্রের খবর, আজই ওই এলাকায় যেতে পারেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিক্ষোভকারীদের দাবি “প্রাণ থাকতে বাড়ি ছাড়বেন না”। তাঁদের আশঙ্কা, ভাগাড় পরিষ্কারের নামে বাড়ি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। আর কোনওদিন স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন না তাঁরা। সে কারণেই বিপদে আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বাড়ি ছেড়ে যেতে নারাজ বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বহু কষ্টে লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। ভেঙে গেলে কোথায় যাবেন? পুনর্বাসনের দাবিও জানিয়েছেন বসবাসকারীরা।