নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মামলায় নয়া মোড় এসেছে তাঁর আত্মীয় কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীর আদালতে দেওয়া বয়ানের পর। তিনি জানিয়েছেন, পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের পরামর্শেই একাধিক নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি। তবে আর্থিক লেনদেন বা কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁর কোনো জ্ঞান ছিল না বলে দাবি করেছেন কৃষ্ণচন্দ্র। জানা গেছে, কৃষ্ণচন্দ্র পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের মামা।
এদিকে কল্যাণময় আগেই আদালতে বলেছেন, শ্বশুরের নির্দেশেই সমস্ত কাজ করেছেন তিনি। ফলে, দুই পক্ষের বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকার দিকেই। আদালতে কৃষ্ণচন্দ্র জানিয়েছেন, তাঁকে ‘বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল স্কুল’ নির্মাণের দায়িত্ব ও একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর পদ দেওয়া হলেও, আর্থিক বিষয় নিয়ে তিনি কিছু জানতেন না। শুধু কল্যাণময়ের উপর বিশ্বাস রেখে নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
ইতিমধ্যে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে ও তাঁর অধীনস্থ কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থা ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। তাদের অভিযোগ, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অর্জিত কালো টাকা বিভিন্ন কোম্পানি ও একটি নির্দিষ্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে বৈধ করা হয়েছিল। এই ট্রাস্ট গঠন করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর প্রয়াত স্ত্রীর নামে।
কল্যাণময়ের লিখিত জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত হন। মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে ওঠা কল্যাণময়ের বয়ান তদন্তের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। মঙ্গলবার ফের কৃষ্ণচন্দ্রের জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলে জানা গেছে। এই মামলায় নতুন তথ্য উঠে আসায় ফের চাপে পড়ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যা ভবিষ্যতে তাঁর আইনি জটিলতা আরও বাড়াতে পারে।