মায়ানমার: মায়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৯৪। শনিবার সকালে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকার জানিয়েছে, অন্তত ৬৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পের (Mayanmar earthquake) কারণে। আহতের সংখ্যা ১৬৭০। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই দুঃসময়ে অন্যান্য দেশের কাছে সাহায্য চেয়েছে মায়ানমার। ভারত থেকে ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে শনিবার সকালেই মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিমান। সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে মায়ানমার। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার পরে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অনেক ঘর-বাড়ি। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশকটি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৭। উভয়ক্ষেত্রেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই দুই কম্পনেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপর আরও বেশ কয়েকবার আফটারশক অনুভূত হয়।
মায়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, সরকারি বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে আটকে পড়াদের বের করার চেষ্টা করছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয় রাজ্য।
অন্যদিকে, মায়ানমার ছাড়াও শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। সেখানে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে এক সংবাদ সংস্থা সংস্থা। ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন উঁচু ভবন ধসে পড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।