নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। তাঁর নাম সুতপা বণিক। এর ফলে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৮। মৃতদের মধ্যে রয়েছে চার শিশু। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাজি কারখানার মালিক দুই ভাই চন্দ্রকান্ত ও তুষার বণিক এখনও পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ কেঁপে ওঠে রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকা। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা ছিল যে তার কারণে উড়ে যায় বাড়ির ছাদ। ভেঙে পড়ে আশপাশের দেওয়াল। বিস্ফোরণের ফলে আসবাবপত্র ছিটকে গিয়ে পড়ে মাঠে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এটি কোনও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নয়। বাড়িতে বেআইনিভাবে মজুত বাজির থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তারপর সিলিন্ডার ফেটে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাজির পাশাপাশি, সেখানে বেআইনি বোমা তৈরিরও কাজ চলত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে।
অন্যদিকে, পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার জানা দাবি করেছেন, কারখানার লাইসেন্স ছিল। তবে এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, “বারে বারে একই ঘটনার জন্য ‘অদক্ষ পুলিশ মন্ত্রী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী” বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, এটি কি সত্যিই বাজি কারখানা, নাকি তৃণমূলের মদতে বেআইনি বিস্ফোরক তৈরির কেন্দ্র? আজ ঘটনাস্থলে পৌঁছবে ফরেনসিক দল। তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই স্পষ্ট হবে এই বিস্ফোরণের আসল কারণ।