নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববাণিজ্যে আবারও নতুন করে শুল্কযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করতে চলেছেন, আর সেই ঘোষণার আগে জল্পনা তুঙ্গে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বেছে বেছে কিছু নির্দিষ্ট দেশের ওপর শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে ভারতের ব্যবসায়িক মহলে উদ্বেগ বেড়েছে।
সম্প্রতি দিল্লিতে ভারত ও মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। আলোচনায় ভারতের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতের গড় শুল্কহার ছিল ১৭ শতাংশ, যা ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে ১০.৬৬ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ভারতীয় পণ্যের ওপর একবারে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ না করে, ধাপে ধাপে কর বৃদ্ধির জন্য আমেরিকার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, যেসব ভারতীয় পণ্যের মার্কিন বাজারে চাহিদা বেশি, সেগুলোর ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। অপরদিকে, আমেরিকা চাইছে ভারতও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমাক।
এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র লেভিট জানিয়েছেন, আমেরিকা এতদিন অন্যায্য শুল্কনীতি সহ্য করেছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভারত মার্কিন কৃষিজাত পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুগ্ধজাত পণ্যে ৫০ শতাংশ কর বসিয়েছে। এর ফলে মার্কিন ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। তাই এবার আমেরিকা তার প্রতিক্রিয়া দেখাতে প্রস্তুত।
তবে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের জন্য নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করা হয়নি। ট্রাম্পের ঘোষণার পরেই স্পষ্ট হবে, ভারতের ওপর বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপছে কিনা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্যিক দিক থেকে ‘বন্ধু’ মোদিকেও ছাড় দিতে রাজি নন ট্রাম্প। এখন দেখার, নতুন শুল্ক নীতি ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্কে কী প্রভাব ফেলে।