নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ধর্ষণ মামলায় স্বঘোষিত খ্রিষ্টান ধর্মযাজক বাজিন্দর সিং-কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল মোহালির পকসো আদালত। গত ২৮ মার্চ পাঞ্জাবের (Panjab) তাজপুর গ্রামের ‘গ্লোরি অ্যান্ড উইজডম’ গির্জার ধর্মযাজক বাজিন্দরকে ২০১৮ সালের যৌন নিপীড়নের মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩২৩ (আঘাত করার শাস্তি) এবং ৫০৬ ফৌজদারি ভীতি প্রদর্শন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
কে এই বাজিন্দর (Bajinder Singh)?
বাজিন্দর সিংয়ের জন্ম হরিয়ানার যমুনানগরের এক হিন্দু জাট পরিবারে। প্রায় ১৫ বছর আগে একটি খুনের মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। তখনই গ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্ম। এরপর সেই ধর্মের প্রচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০১৬-তে ‘চার্চ অফ গ্লোরি অ্যান্ড উইসডম’ নামের একটি সংস্থা চালু করেন। তাঁকে বলা হয় ‘স্বঘোষিত’ ধর্মযাজক। কারণ নিজেই প্রচার করতেন, তাঁর প্রার্থনার মাধ্যমে নাকি মানুষ অলৌকিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে। এমনকি এইচআইভি বা বোবা রোগীকেও সারিয়ে তোলার দাবি করেছেন এক সময়।
২০১৮ সালের ধর্ষণ মামলা-
বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছেন বলে বাজিন্দরের (Bajinder Singh) বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন মোহালির জিরাকপুর থানায়। এরপর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে লন্ডন গামী একটি ফ্লাইটে ওঠার সময় দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বাজিন্দরকে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কারন ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন ভুক্তভোগী নাবালিকা ছিলেন, তাই মামলাটি এতদিন পকসো আদালতে চলছিল। তবে সেই মামলার রায়-এ আজ বাজিন্দরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী ওই মহিলা জানিয়েছেন, ”আমি চাই সে জেলেই থাকুক, কারণ জেল থেকে বেরিয়ে আসলে সে আবার একই অপরাধ করবে। তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় আজ অনেক মেয়ে জিতল। তবে আমাদের উপর হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমি পাঞ্জাবের ডিজিপিকে (panjab DGP) আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”