নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রায় ২৬,০০০ জনের নিয়োগ প্যানেল বাতিল করেছে। পাশাপাশি, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তবে সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এত কম সময়ে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব নয়। গতবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২২ লক্ষ প্রার্থী। নতুন করে পরীক্ষা, ফল প্রকাশ, ইন্টারভিউ, প্যানেল তৈরি—এই সব কিছু মাত্র তিন মাসে শেষ করা বাস্তবসম্মত নয়।” তবে রাজ্য সরকারের চাহিদা এবং আদালতের নির্দেশ মেনে কীভাবে দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে আইনজীবীদের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই যথাযথভাবে না হওয়ায় পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে কিছুটা বিরক্ত হন এসএসসি চেয়ারম্যান এবং রায়ের ২৩ ও ২৮ নম্বর প্যারাগ্রাফ পড়ে দেখার পরামর্শ দেন।
যাঁরা শিক্ষকতার জন্য অন্য চাকরি ছেড়েছিলেন, তাঁদের আগের কাজে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। এসএসসি জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ‘সুপারনিউমেরি’ পদ তৈরি করা হবে।
নতুন নিয়োগে কারা অংশ নিতে পারবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধার্থবাবু। পাশাপাশি, চাকরিহারাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “ধৈর্য হারাবেন না।”