নিউজ ডেস্ক: ফুরিয়েছে প্রয়োজন, পূর্ব ঘোষণা মতোই বার্নপুরে ভেঙে ফেলা হল ৫ টি কুলিং টাওয়ার। রবিবার সকালে ইস্পাত নগরী বার্নপুর (Burnpur) সহ গোটা শিল্পাঞ্চল এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী থাকল। জানা গিয়েছে, টাওয়ারগুলির (Cooling Tower) বয়স প্রায় ৭০ বছর। এই কাজে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হল। কারণ, এগুলি তৈরি করা হয়েছিল বিদেশি প্রযুক্তিতেই। ইস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমান প্রযুক্তিতে এই বিরাট আকারের কুলিং টাওয়ারের আর প্রয়োজন নেই৷ এখন ডব্লুটিপি পদ্ধতি বা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টেই কুলিং টাওয়ারের কাজ হয়ে থাকে৷ তাই অত বড় জায়গা দখল করে রাখা এই কুলিং টাওয়ারগুলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেল।
এ প্রসঙ্গে কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার বলেন, ‘এদিন বার্নপুর সেল আইএসপির পাঁচটি আইকনিক কুলিং টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়। ৭০ বছরের পুরনো এই পাঁচটি হাইপারবোলিক কংক্রিট ন্যাচারাল ড্রাফ্ট কুলিং টাওয়ার। প্রতিটি ৭২ মিটার উঁচু এবং ৩০-৪৮ মিটার ব্যাসের। এদিন সকাল ১২.১৫ মিনিটে টাওয়ারগুলি ভেঙে ফেলা হয়।’
কথিত আছে, স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের আমলে এই কুলিং টাওয়ারগুলি বানানো হয়েছিল৷ কারও দাবি, স্যার বীরেন মুখোপাধ্যায়ের আমলে বিদেশি প্রযুক্তির দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। কারখানার বিভিন্ন বিভাগের উত্তপ্ত গরম জলকে ঠান্ডা করে আবার ফিরিয়ে দিত এই পাঁচটি কুলিং টাওয়ার। কার্যত রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে গরম জলকে শীতল করার কাজ পরিপূর্ণ করত এই কুলিং টাওয়ারগুলি, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তবে এখনই তাপমাত্রা পরিবর্তনের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই
জানা গিয়েছে, নতুন প্ল্যান্ট সম্প্রসারণের জন্যই এই ৫ টি কুলিং টাওয়ার (Cooling Tower) ভেঙে ফেলা হল। উল্লেখ্য, এই সম্প্রসারণের ফলে বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা সেল আইএসপির লক্ষ্যমাত্রা ৭ মিলিয়ন টন হবে। ফলে সেল আইএসপি দেশের অন্যতম বৃহৎ ইস্পাত কারখানার তকমা পাবে। জানা গিয়েছে, এই পর্যায়ের সম্প্রসারণে ব্যয় হবে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ হতে বছর সময় লাগবে প্রায় ৫ বছর।