নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে একসঙ্গে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই নিয়োগ বাতিলের জেরে পড়াশোনা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা তো আছেই, পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প রয়েছে সেগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রেও সংকট তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন স্কুলে (Government Schools)।
হাই ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প চলে তার মধ্যে রয়েছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য মিড-ডে মিল, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বার্ষিক স্টাইপেন্ড প্রদানে ঐক্যশ্রী, ১৩-১৮ বছর বয়সি ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্পের কে-ওয়ান, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেমির তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষাশ্রী, ওই একই শ্রেণির ওবিসি ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেধাশ্রী, নবম-দশম শ্রেণির তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, একাদশ শ্রেণি থেকে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়াদের পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সবুজ সাথী-র সাইকেল, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা প্রদানে তরুণের স্বপ্নের মতো নানা প্রকল্প।
আরও পড়ুন: ফুরিয়েছে প্রয়োজন! বার্নপুরে ভাঙা হল ৭০ বছরের পুরনো ৫টি কুলিং টাওয়ার
আসলে চাকরি হারানো সহ শিক্ষকদের অনেকেই স্কুলের এই সমস্ত সরকারি প্রকল্পের (government scheme) নোডাল টিচারের দায়িত্বে ছিলেন। গ্রুপ সি পদের কিছু শিক্ষাকর্মীও চাকরি খোয়ানোর তালিকায় থাকায় স্কুলগুলির প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই শিক্ষাকর্মীরাও সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দিতে নোডাল টিচারদের সহযোগিতা করতেন। ফলে চাকরি হারানোর পর এই সমস্ত সরকারি প্রকল্পগুলি কিভাবে চলবে তা নিয়েই তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা।