নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়! সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি সৌমেন সেন। বিচারপতি সেন মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয় নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি আর ওই ডিভিশনের বেঞ্চের বিচারাধীন রইল না। মামলাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি সেন। তাই এখন এই মামলা কোন নতুন ডিভিশন বেঞ্চে যাবে, তা স্থির করবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
সদ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি-র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিল হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষকের। এবার নজরে ২০১৬ সালেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। যার ওপর নির্ভর করছে প্রায় ৬০ হাজার প্রাাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ।
আদালত সূত্রে খবর, অতীতে এসএসসির মতো প্রাথমিকেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ওই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি তথা অধুনা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে এসএসসির ওএমআর শিটের মতো ২০১৪ সালে প্রাথমিকের পরীক্ষার নথিও নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। তবে সোমবার হাইকোর্টে এই মামলা ওঠার আগেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি সৌমেন সেন।