নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের একাধিক এলাকা। জঙ্গিপুরের পর এবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা। শুক্রবার আমতলার রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয় সড়ক অবরোধ। অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া সব যানবাহন আটকে দেওয়া হয়। বিক্ষোভের মাঝেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি — পুলিশের গাড়িতে চলে ভাঙচুর।
উর্দিধারীদের সঙ্গে চলে ধস্তাধস্তি। জানা গিয়েছে, ভাঙচুর হওয়া গাড়িটি বারুইপুর জেলা পুলিশের। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে, নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ। সুতিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ১৬৩ ধারা অমান্য করে শুরু হয় প্রতিবাদ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধের মধ্যে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা ইট ছোঁড়ে, এমনকি বোমা বিস্ফোরণেরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ফরাক্কার এসডিপিও। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিকে বীরভূমের মুরাইরইতেও ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে নামেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের ছবি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। তাঁদের অভিযোগ, ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা এড়াতেই শতাব্দী রায় সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন। কলকাতার পার্ক সার্কাসেও চলছে প্রতিবাদ।
সব মিলিয়ে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। কোথাও বিক্ষোভ, কোথাও পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ। পরিস্থিতি এখনও সর্তকতামূলক নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।