নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ঘিরে অশান্তি ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায়। ধুলিয়ান, সুতি, সামসেরগঞ্জের মতো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অশান্ত এলাকায় শান্তি ফেরাতে তৎপর হয় কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশেই মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। একই সঙ্গে টহল দিচ্ছে পুলিশও। কিন্তু ইতিমধ্যেই অশান্তিতে সব খুইয়ে ভিটে-মাটি ছাড়া হয়েছে মুর্শিদাবাদের প্রায় ৫০০ পরিবার। তারপরেও ডিজি বলছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
পুলিশের দাবি, অশান্ত পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নতুন ওয়াকফ আইনকে ঘিরে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের মতো বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি যাতে নতুন করে উত্তপ্ত না-হয়ে ওঠে, তার জন্য আলাদা করে পরিকল্পনা করছে রাজ্য পুলিশ।
ওয়াকফ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের একাংশ। পরিস্থিতি খারাপ হতেই মুর্শিদাবাদ নিয়ে হস্তক্ষেপ করে হাই কোর্ট। বিএসএফ সূত্রে খবর, ১৫ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে মুর্শিদাবাদে। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। শনিবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সূত্রের খবর, তিনি বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। এর পরেই নিজে সরেজমিনে সব কিছু খতিয়ে দেখে রবিবার বিকেলে জানিয়ে দেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
অন্যদিকে মমতা সহ সিদ্দিকুল্লা, ফিরহাদ এবং মমতা মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের ওয়াকফ নিয়ে হিংসার আঁচ উস্কে দিতে বিতর্কিত মন্তব্য-এই ঘটনাকে দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকেই। তবে এই প্রথম মুর্শিদাবাদ এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে এমন নয়, এর আগেও সিএএ-র (CAA) সময় মুর্শিদাবাদে রেল অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখানো হয়েছিল। তবে বারংবার কেন সবসময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ, এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে ভুক্তভুগি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।