কলকাতা: স্বাস্থ্য বিমায় বেনিয়ম ঠেকাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ১১টি মেডিক্লেম সংস্থার আধিকারিকদের তলব করল স্বাস্থ্য কমিশন। ২১ এপ্রিল আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে মেডিক্লেম সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান এবং আধিকারিকরা।
মেডিক্লেম নিয়ে মানুষের এত অভিযোগ কেন? কারণ খোঁজা এবং সমাধান বের করাই এই বৈঠকের উদ্দেশ্য। জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকারি বা বেসরকারি, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে মেডিক্লেমের প্রিমিয়ামের টাকা। অথচ আপৎকালীন সময়ে হাসপাতালের বিলের টাকা মেটাতে টালবাহানা করার ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, গ্রাহকরা ক্যাশলেস মেডিক্লেম করিয়েছেন। অথচ সেই সুবিধা না মেলার অভিযোগ ভুরি ভুরি।
নগদে চিকিৎসা করিয়ে পরে টাকা দাবি করতে হচ্ছে ইন্সুরেন্স কোম্পানির থেকে। এমন অভিযোগও ওঠে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে নগদে চিকিৎসা করালে যা বিল হয়, ক্যাশলেস মেডিক্লেম কার্ড থাকলে, বিল বেশি করে হাসপাতাল। এর ফলে রোগীর পকেট থেকে বাড়তি টাকা না গেলেও, মেডিক্লেমের ব্যালেন্স কমে যায়। যাতে পরোক্ষভাবে আর্থিক ক্ষতি হয় রোগীরই।
এই পরিস্থিতিতে মেডিক্লেম সংস্থাগুলির তরফেও মাঝেমধ্যে কিছু অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনে। এক শ্রেণির অসাধু নার্সিংহোম, ভুয়ো রোগীর ভুয়ো বিল বানিয়ে মেডিক্লেমের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। তারও সমাধান খোঁজার চেষ্টা হবে, খবর স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে।
প্রসঙ্গত, মেডিক্লেম সংস্থা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বহু মানুষেরই। হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিমা করানোর পরও প্রয়োজনের সময় হাজারো নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে অনেককেই। নানা যুক্তি দেখিয়ে মেডিক্যাল বিলের থেকে অনেক কম বিল মেটানোর মতো অভিযোগও ওঠে অহরহ। বছরের পর বছর প্রিমিয়াম গুনেও বিপদের সময় বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখার অভিযোগও বিস্তর।