নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি শুরু হয়েছে। সব থেকে বেশি মাত্রায় গন্ডগোল হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। ইতিমধ্যে সেখানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি গাড়িতে আগুন, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছে। সরকারি অফিসে হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছে একদল প্রতিবাদী। হামলা হয়েছে রেলের সম্পত্তিতে। অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে আদালতের নির্দেশে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের ফলে কী হবে কী কী সুবিধা মিলবে তা না জেনেই অনেকে এই বিক্ষোভ অশান্তি চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও কেন্দ্র সরকার যে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে এসেছে তাতে আখেরে লাভ হবে গরিব এবং সাধারণ মুসলিমদের- এই দাবি করে ওয়াকফ বিলকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন। শুধু তাই নয়, এই সংশোধিত বিলের মাধ্যমে দেশের মুসলিমরা এগিয়ে যাবেন, একথা খোদ স্বীকার করেছেন তিনি।
তবে ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে মুর্শিদাবাদের অশান্তির কারণ কি শুধু রাজনৈতিক ইন্ধন, নাকি এর পিছনে ওয়াকফ সম্পত্তি বেহাত হওয়ার ক্ষোভও জড়িয়ে রয়েছে, বর্তমানে এই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
প্রশাসন সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদে মোট ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। এই সম্পত্তির বেশির ভাগটাই কৃষিজমি। তবে তার মধ্যে সাড়ে পাঁচশোটি বেদখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় স্তরে ‘প্রভাবশালীরা’ সে সম্পত্তি দখলে রেখেছেন, অভিযোগ এমনই। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মুর্শিদাবাদের একাধিক ইমাম, মোয়াজ্জিম সংগঠন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে আলোচনায় দাবি তুলেছে, বেদখল হয়ে থাকা ওয়াকফ সম্পত্তি ফেরানোয় জোর দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।