কলকাতা: মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখ। নতুন বছরের প্রথম দিন পশ্চিমবঙ্গ ১৪৩২ বঙ্গাব্দে পা রাখবে। বস্তুত, আগামী বছর বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে তৃণমূল এই দিনটিতে ‘বাঙালি গরিমা’য় আরও শান দিতে চাইছে।
বৈশাখের প্রথম দিনটিকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সরকারি ছুটি হলেও রাজ্য জুড়ে সরকারি স্তরে পালিত হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের অনুষ্ঠান।
এ বছর বাংলা নববর্ষে সরকারি অফিসে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রবীন্দ্রসদনে সরকারের তরফেই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ উদ্যাপনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে দিনটিকে ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
রবীন্দ্রসদনের একতারা মুক্তমঞ্চে পয়লা বৈশাখ সকাল ৮টা থেকে দিনভর চলবে বঙ্গসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত নানা অনুষ্ঠান। পাশাপাশি, রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে বিকেলে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উপস্থিতিতে ‘বাংলা দিবস’ পালিত হবে। সেখানে জনপ্রিয় শিল্পীদের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
জেলা স্তরেও তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ ‘বাংলা দিবস’ পালন করবে। প্রসঙ্গত, এ বছর অনেক আগে থেকেই লিখিত বিবৃতি জারি করে তৃণমূলের রাজ্য সংগঠন থেকে শুরু করে জেলা, ব্লক ও বুথ স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। লিখিত নির্দেশে বাঙালি গরিমাকে জাগিয়ে তুলতে দিনটি পালন করতে বলেছেন তিনি।
তাই তৃণমূলের নেতারা পয়লা বৈশাখে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালনের কর্মসূচিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ বার বিজেপির ‘কড়া’ হিন্দুত্বের প্রচার দেখে কৌশলে বদল এনেছে তৃণমূল। হিন্দুত্বের পাল্টা ‘বাঙালি গরিমা’ তুলে ধরতে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটিকেই বেছে নিয়েছে মমতার দল।