নিউজ ডেস্ক: আজ পয়লা বৈশাখ। নতুন বছরের প্রথম দিন, পশ্চিমবঙ্গ ১৪৩২ বঙ্গাব্দে পা রাখলো। বৈশাখের প্রথম দিনটিকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সরকারি ছুটি হলেও, আজ রাজ্য জুড়ে সরকারি স্তরে পালিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের অনুষ্ঠান। বস্তুত, আগামী বছর বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে তৃণমূল এই দিনটিতে ‘বাঙালি গরিমা’য় আরও শান দিতে চাইছে।
অন্যদিকে, বিজেপি ২০ জুন দিনটিকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে পালন করে। কারণ সেই দিন বাংলা ভাগের ভোটাভুটি হয়েছিল। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষের দিন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ ঘোষণা করেছেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের বক্তব্য হল, বাংলা ভাগ নিয়ে ভোটাভুটির দিনটি আসলে বেদনার দিন। তাই, সেই দিনটিকে কখনও পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে উদযাপন করা যায় না। তাই, মমতা ও তাঁর দল, আজকের দিনটিকে, অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের দিনটিকেই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসাবে পালন করছে।
সেই মতোই এ দিনেই দিল্লিতে বিজেপির নতুন সরকার ‘বাংলা দিবস’ পালন করতে চলেছিল। তার জন্য সমস্ত আয়োজনও প্রায় সারা হয়ে গিয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল, দিল্লি সচিবালয়ের প্রেক্ষাগৃহে ‘বাংলা দিবস’ পালন করা হবে। কিন্তু, শেষবেলায় সেই অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হল। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের চাপেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁরাই দিল্লির সরকারের কাছে আপত্তি জানান। তার পরেই মঙ্গলবার দিল্লি সচিবালয়ের প্রেক্ষাগৃহে ‘বাংলা দিবস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন স্থগিত রাখা হয়।
যদিও এ প্রসঙ্গে দিল্লি সাহিত্যকলা পরিষদ সূত্রের খবর, ১৫ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ‘বাংলা দিবস’-এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। একে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস বলে উল্লেখ করা হয়নি। বঙ্গের বিজেপি নেতারা ভুল বুঝে আপত্তি তুলেছেন।