নিউজ ডেস্ক: উপদ্রুত মুর্শিদাবাদে পুলিশের তরফে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সম্পূর্ণ চেষ্টা হচ্ছে। আগের থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও এসেছে বলে দাবি পুলিশ কর্তাদের। এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিএসএফ ও র্যাফের টহল। ইতিমধ্যে ১৯ জন ঘরছাড়া মালদার পাড় লালপুর থেকে তাদের বাড়িতে ফিরে গেছেন। বাকি যারা এখনও ঘরছাড়া তাঁদেরও বাড়ি ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।
জেলায় হিংসা রুখতে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, তাও আবার চালু করা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে লাগামছাড়া সংঘর্ষ হয় মুর্শিদাবাদে। সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে নিহত হন বাবা ও ছেলে, সুতির কাশিমনগরের এক যুবকেরও মৃত্যু হয়। জখম হন মোট তিনজন। ধুলিয়ানের বহু মানুষ আতঙ্কে ঘরছাড়া হন। তাদের অনেকে পড়শি জেলা মালদায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সোমবার নিহতদের বাড়ি যান সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখার্জি সহ বাম নেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে সামশেরগঞ্জে যাওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর। এদিকে অশান্তির ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। সামশেরগঞ্জে রয়েছেন রাজ্য পুলিশকর্তা সুপ্রতিম সরকার, বিনীত গোয়েল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার অন্যান্য ২৩ জন উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাও রয়েছেন সামশেরগঞ্জ, সুতি, জঙ্গীপুরে। একই সাথে মোতায়েন করা হয়েছে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।