নিউজ ডেস্ক: আজ বিকেলে নবান্নে মমতা বসছেন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে বৈঠকে। আগামী ৩০ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে ২৯ তারিখ প্রথা মেনে হবে যজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ২৭ তারিখই দিঘায় যাবেন বলে খবর। ২৮ তারিখে তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও তাঁর আলোচনা হবে। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে বাংলার চিরাচরিত সম্প্রীতির ছবিটাও তুলে ধরতে চাইছেন মমতা।
রাজ্য প্রশাসনের আশঙ্কা, সেই সময় দিঘায় প্রবল জনসমাগম হতে পারে। তাই যান চলাচল, নিরাপত্তা, আবাসন এবং প্রাথমিক পুজোর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী খতিয়ে দেখবেন বিস্তারিত রিপোর্ট। ওই বৈঠকে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ, পর্যটন দফতর, পূর্ত দফতর এবং পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে মাঠ-পর্যায়ের প্রস্তুতির হালহকিকত। ইতিমধ্যে প্রশসানের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮ এপ্রিল থেকে জগন্নাথ মন্দির চত্বর ঘিরে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। ভিআইপিদের জন্য তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। সাধারণ দর্শনার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে, ২৮ এপ্রিলের মধ্যেই দিঘা পৌঁছে যাওয়ার জন্য।
আজকের বৈঠকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে আমন্ত্রণ করা হয়েছ নবান্ন সভাঘরে। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন সফরে যাওয়া প্রতিনিধিরাও। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী-সহ শীর্ষ আমলা ও পুলিশকর্তারা। থাকবেন ইসকনের প্রতিনিধিরাও। মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। বৈঠকে থাকবেন হিডকোর কর্তারাও।
উল্লেখ্য, পুরীর আদলে নির্মিত দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরের উচ্চতা ২১৩ ফুট, বিস্তৃত প্রায় ২২ একর জমিতে। মন্দির নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এই মন্দির চত্বরে রয়েছে অতিথি নিবাস, প্রশাসনিক ভবন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থেকে স্থানীয়দের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী ব্যবসার সুযোগ। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, এই অনুষ্ঠান নিয়ে বাড়তি প্রচার তিনি চান না । তাঁর কথায়, “আমি হাইপ তৈরি করতে চাই না । মন্দিরের মহিমা আপনিই ছড়াবে ।” তবে প্রশাসনের প্রস্তুতি যাতে নিখুঁত হয়, তা নিশ্চিত করতেই এদিনের এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বলে নবান্নে সূত্রে জানা গিয়েছে।