কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দায়ের করেছে ক্লারিফিকেশন পিটিশন।
যোগ্য ও অযোগ্য নির্ধারণ না করেই গোটা প্যানেল বাতিল করায় শিক্ষা ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। রাজ্য প্রশাসন উদ্বিগ্ন, আন্দোলনে সরব চাকরি হারা শিক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে আদালতে রাজ্যের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তিন মাসের মধ্যে শেষ করা হবে ৷ কিন্তু, আদালত যদি যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথক তালিকা না দেয়, তাহলে প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বাধা তৈরি হবে।
রাজ্যের অনুরোধ, যতদিন নতুন নিয়োগ না হয়, ততদিন যেন চাকরি হারানো শিক্ষকরা বেতন পান। কারণ, বহু মানুষ ইতিমধ্যেই জীবিকা হারিয়ে দিশেহারা। এমনকি আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
কিন্তু, এপ্রিল মাসের বেতনের রিকুইজিশন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ এপ্রিল— যে দিনেই এই মামলার শুনানি নির্ধারিত। আদালত যদি সরকারের পক্ষে অবস্থান না নেয়, তাহলে শুধু নিয়োগই নয়, বেতন নিয়েও তৈরি হতে পারে বড় সঙ্কট। সাধারণত এক-দু’দিন সময় বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও পরিস্থিতি জটিল হলে প্রশাসনের জন্য তা যথেষ্ট নাও হতে পারে।