নিউজ ডেস্ক: এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন করছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চিহ্নিত অযোগ্য বাদে বাকিরা যাতে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সেই কারণে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল পর্ষদ। এই মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ এই মামলা শুনতে পারে।
গত ৩ এপ্রিল চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় শীর্ষ আদালত। এর আগে একই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টও। সেই রায়ই বহাল রেখেছিল সর্বোচ্চ আদালতও। এর ফলে ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের চাকরি গিয়েছে। এঁদের মধ্যে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ রয়েছেন অনেকে। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে বলা হয়েছে। পর্ষদ জানিয়েছে, এই রায়ের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। অনেক স্কুলে পড়ানোর মতো শিক্ষক থাকবেন না বলে জানিয়েছে তারা। আদালতে পর্ষদের আবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের ৯,৪৮৭টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৬,৯৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হবে।
এই সমস্যার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে পর্ষদের আবেদন, যাঁরা ‘দাগি’ হিসাবে চিহ্নিত, তাঁরা ছাড়া বাকিদের চাকরি আপাতত রাখা হোক। চলতি শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত অথবা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি থাক।