নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও-নৃশংসতার বদলা নিতে ভারত যে পিছপা হবে না, সেই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ ছিল না। সম্প্রতি পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তান সরাসরি ভারতের নগরজীবনের উপর হামলার চেষ্টা চালাল দু’-দু’বার। পাকিস্তানের সেই চেষ্টা যদিও সফল হয়নি, উল্টে তাদের লাহৌর, রাওয়ালপিণ্ডি দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের ছোড়া প্রতিটি ড্রোন, মিসাইলকে ধ্বংস করেছে ভারত।
গতকাল রাতে ঠিক কী কী হয়েছিল?
গতকাল রাতে পাকিস্তান কোন দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টা করেছিল, তা বিবৃতি দিয়ে জানাল ভারতীয় সেনাবাহিনী- ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও চলছে। পাকিস্তান ভারতের উপরে হামলা করার যে দুঃসাহস দেখিয়েছে, তার যোগ্য জবাব দিয়েছে সেনাবাহিনীও। সেনার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৮-৯ মে র রাতে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চল সীমান্ত জুড়ে ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় লাগাতার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি ছুড়েছে। সেনার তরফে প্রতিটি ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে এবং সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনেরও যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখা ও ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। হামাসের কায়দাতেই এই হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেনাবাহিনীর সামনে টিকতে পারেনি কিছুই। উধমপুর, সাম্বা, জম্মু, আখনুর, নাগরোটা, পাঠানকোটে ভারতীয় সেনার এয়ার ডিফেন্স ইউনিট ৫০টিরও বেশি পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোন ধ্বংস করেছে।
ভারতে একদিন হামলা চালিয়েই দৈন্য দশা পাকিস্তানের
আসলে ভারতের প্রত্যাঘাতের পর নিজেদের ক্ষমতার আস্ফালন দেখাতে বৃহস্পতিবার রাতে ড্রোন, মিসাইল হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। ফলে ভারতে একদিন হামলা চালিয়েই দৈন্য দশা পাকিস্তানের। সূত্রের খবর, পাকিস্তান সরকার ইতিমধ্যেই হাত পাততে শুরু করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতেই আন্তর্জাতিক সঙ্গীদের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে পাকিস্তান। দেশের অর্থনীতি যাতে ধরে রাখতে পারে, সেই জন্যই এই আর্জি। এমনকি বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছেও সাহায্য চেয়েছে তারা।
পাকিস্তানের অস্ত্র ভাঁড়ারও প্রায় ফাঁকা
দেশের প্রতিরক্ষার থেকে ব্যবসাতেই বেশি মনোযোগী পাক সেনা, তাই ইউক্রেনের কাছে আগেই অস্ত্র, গুলি বিক্রি করে দিয়েছে। এখন কাঁচামালের অভাবে নতুন করে অস্ত্র তৈরি করতে পারছে না পাকিস্তান। ফলে অস্ত্র ভাঁড়ারও প্রায় ফাঁকা। এদিকে চিনের দেওয়া যে প্রতিরক্ষা সিস্টেম, তাও একদিনেই ভারতের সামনে ডাহা ফেল করে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কার্যত দিশেহারা পাকিস্তান।
বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বারবার আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। এবার ফের তারা চাইছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার। ‘ধার করে ঘি খাওয়া’র মতো ওই অর্থেই দেশের মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে চায় তারা। আর সেই নিয়েই শনিবারের বৈঠক। সেখানে আইএমএফ পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। অন্যদিকে ভারত আইএমএফকে লাগাতার চাপ দিয়ে চলেছে যেন প্রতিবেশী দেশকে আর অর্থসাহায্য না করা হয়। অন্যথায় সেই অর্থে পরোক্ষে হাত মজবুত হবে আইএসআই এবং লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির। এখন দেখার ভারতের চাপে আইএমএফ পাকিস্তানকে আদৌ ঋণ দিতে রাজি হয় কিনা।
খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ
তবে এখানেই শেষ নয়, ভারতের দিকে কুনজর দিলে, কী পরিণতি হতে পারে, তা জল-স্থল-আকাশপথে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত। তাই যুদ্ধ আবহেই আজ খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। রামবানে সালাল বাঁধের দুটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর লকগেট খোলায় হু হু করে জল বের হচ্ছে। যেকোনও মুহূর্তেই ভেসে যেতে পারে পাকিস্তানের সিয়ালকোট। এত কিছুর পরেও এবার নির্লজ্জ পাকিস্তান থামে কি না, তাই-ই দেখার।