নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর সীমা্ন্তে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তার জবাব দিচ্ছে ভারত। এরমধ্যেই বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে চেয়েছে পাকিস্তান। তা ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের হামলা উড়িয়ে দিয়েই প্রত্যাঘাত করেছে পাক মাটিতে। এতে দারুণভাবে কাজে লেগেছে ড্রোন। পাক ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দিয়েছে সুদর্শন চক্র। কিন্তু যেসব অস্ত্র কাজে লাগানো হচ্ছে, সেগুলি কোন দেশ থেকে আনা হয়েছে? তথ্য বলছে, এইসব অস্ত্র আনা হয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইজরায়েল, ব্রিটেন, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউক্রেন থেকে। ভারতে তৈরি নানা মিসাইলের পাশাপাশি এইসব অস্ত্রই ভারতকে জল, স্থল, আকাশে শক্তিশালী করে তুলেছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেইসব অস্ত্র আর কোন দেশ থেকে তা আমদানি করেছে ভারত।
রাশিয়া
S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম: ভারতে এই অস্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে সুদর্শন চক্র। পাকিস্তান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ভারতের দিকে, তা প্রতিহত করেছে এই অস্ত্র। বলা যায় ঢাল হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই সিস্টেম ব্যবহার করে আকাশে শত্রু বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণ প্রতিহত করছে।
T-90 এবং T-72 ট্যাঙ্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান ও সীমান্তের সংঘর্ষে এই ট্যাঙ্কগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলি ভারতীয় সেনার মূল আক্রমণাত্মক শক্তি।
Su-30MKI ফাইটার জেট: সুখোই ফাইটার জেট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আকাশে সংঘর্ষে এই ফাইটার জেটগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
BrahMos ক্রুজ মিসাইল: এটি একাধিক মিশনে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার মধ্যে পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে কৌশলগত হামলা রয়েছে।
ইজরায়েল
Heron UAVs (ড্রোন): পাকিস্তানের ভেতরে এবং ভারতীয় সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি চালাতে ইজরায়েলে তৈরি এই ড্রোনগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে। এরমধ্যেই এই ড্রোনের সাহায্য পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত।
Spike ATGM (অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল): পাকিস্তান সীমান্তে ভারী ট্যাঙ্ক বা দুর্গের বিরুদ্ধে এই মিসাইলগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমেরিকা
AH-64 অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার: সীমান্তে পাকিস্তানের ঘাঁটি বা সন্ত্রাসী শিবিরগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণে এই অত্যাধুনিক অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। পাকিস্তানে ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবিরগুলি ধ্বংস করতে যে হামলা চালিয়েছে ভারত, তাতে কাজে লেগেছে এই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার।
M777 হাউইটজার: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উচ্চপদে ও দ্রুততার সাথে হামলার জন্য এই হাউইটজার ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশেষ করে মাউন্টেন ওয়ারফেয়ারে। পাহাড়ি এলাকায় এগুলি ভীষণ কার্যকর।
P-8I পসিডন মেরিটাইম সার্ভেইলেন্স বিমান: পাকিস্তান ও ভারতের জলসীমায় নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য এই বিমানটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
ফ্রান্স
Rafale ফাইটার জেট: ২০২০ সালের পর ভারতের বিমান বাহিনীতে যোগ হওয়া এই অত্যাধুনিক ফাইটার জেটগুলি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আকাশে আক্রমণে ব্যবহৃত হচ্ছে। সঠিক নিশানায় হামলা চালাতে দারুণভাবে সক্ষম এই ফরাসি রাফায়েল যুদ্ধ বিমান।
Scorpène-Class সাবমেরিন: ভারতের সামুদ্রিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এই সাবমেরিনগুলো পাকিস্তানের নৌ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ব্রিটেন
NLAW (নেক্সট জেনারেশন লাইট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ওয়েপন): ভারতীয় সেনা পাকিস্তান সীমান্তে এই পোর্টেবল অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল ব্যবহার করছে।
Mastiff আর্মর্ড ভেহিকেল: এটি সাঁজোয়া গাড়ি। পাকিস্তান সীমান্তে আক্রমণ এবং সন্ত্রাসবাদী মোকাবিলায় এই সাঁজোয়া গাড়ি কাজে লাগছে।
সুইডেন
Bofors হাউইটজার: এই হাউইটজারগুলি পাকিস্তান সীমান্তে স্থল যুদ্ধ ও আক্রমণাত্মক অভিযানে ব্যবহৃত হচ্ছে। কারগিল যুদ্ধের সময়ও কাজে লেগেছিল এই বোফর্স কামান।
দক্ষিণ কোরিয়া
K-9 Vajra সেলফ-প্রোপেলড হাউইটজার: পাকিস্তান সীমান্তে শত্রু নিকেশে এই মডার্ন হাউইটজার ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইউক্রেন
T-84 ট্যাঙ্ক: পাকিস্তান সীমান্তে শত্রু ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার জন্য ইউক্রেনের তৈরি এই ট্যাঙ্কগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে।
ফলে এটা বোঝাই যাচ্ছে, ভারতে অগ্নি মিসাইলে মতো যেসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়েছে, তা যেমন পাকিস্তানের হামলার মোকাবিলায় কাজে লাগছে, তেমনি আসরে নেমেছে সুদর্শন চক্রের মতো বিদেশ থেকে আনা অস্ত্র।